গভীর সমুদ্রের বাসিন্দাদের গল্প

  • Frilled Shark :

মানুষ খুব কদাচিৎ সাগরে এই  প্রাণীটির মুখোমুখি হয়। এর কারণ হচ্ছে, এই প্রাণীটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫০০০ ফুট গভীর পানিতে বাস করে। এই প্রজাতির হাঙরদেরকে জীবন্ত ফসিল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ডায়নাসর যুগের কিছু সামুদ্রিক প্রাণীর সাথে এদের কিছু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ২০০৭ সালে জাপানের অগভীর সমুদ্রে এই প্রজাতির একটি হাঙর পাওয়া যায়। যেটি মাত্র ৫.৩ ফুট লম্বা ছিল। পরবর্তীতে এটিতে জাপানের মেরিন পার্কে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু, মাত্র এক ঘণ্টার বেশি হাঙরটি বাঁচে নি। কারণ, গভীর সমুদ্রেই এদের বসবাস। 1

  • Atlantic Wolffish :

এই অশুভ চেহারার মাছটি সাধারনত পাওয়া যায় সমুদ্র উপকুলের গভীর পাথুরে এলাকায়। এই প্রজাতির মাছ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬০০ ফুট(৫০০ মিটার) নিচে বাস করে। এদের দাঁতের গঠন অনেকটা মলাস্কা পর্বের প্রাণীদের মতো। তাছাড়া, কাঁকড়াদের দাঁড়ার সাথেও এদের দাঁতের কিছু মিল আছে। সাধারনত, সমুদ্রের গভীর উপকুলে এদের পাওয়া যায়।

 2

  •  Fang Tooth Fish :

সমুদ্রের দুঃস্বপ্ন এই গভীর জলের মাছটি হচ্ছে এ যাবতকালে আবিষ্কৃত সবচেয়ে গভীর জলের মাছ। সাধারনত এদেরকে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬৫০০ ফুট(২০০০ মিটার) গভীরে দেখা যায়। তবে, কখনো কখনো এদেরকে ১৬৫০০ ফুট (৫০০০ মিটার) গভীর জলেও পাওয়া গেছে। এরা দৈর্ঘ্যে সাধারনত ৬ ইঞ্চি (১৬ সে. মি) হয়ে থাকে। তবে এদের দৈত্যাকৃতির দাঁতগুলো এদের দেহের তুলনায় বেশ বড়। শরীরের সমানুপাতে এদের দাঁতের দৈর্ঘ্য পৃথিবীর যেকোনো মাছের তুলনায় বড়। 33

  • Pacific Viperfish :

এই মাছটিও এদের দাঁতের জন্য বিখ্যাত। এদের খাঁজযুক্ত, সূচালো দাঁতগুলো এদের মুখের এতটাই বাইরের দিকে থাকে যে এরা দাঁতগুলোকে মুখের ভিতরে রাখতে পারে না। গভীর সমুদ্রের এই আতঙ্ক কিন্তু দৈর্ঘ্যে মাত্র ৮ ইঞ্চি (২৫ সে. মি)। এদেরকে সমুদ্রের প্রায় ১৩০০০ ফুট (৪,৪০০ মিটার) পর্যন্ত গভীর পানিতে দেখা গেছে।

4

মাহবুব রেজওয়ান  (২০/০৭/২০১৩)

এনভাইরনমেনটমুভ ডেস্ক

 

Check Also

পুরাতন ব্রহ্মপুত্র: নদী, নিরাপদ পানি ও মানুষের গল্প

দূষণের এই চিত্র শুধু পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের না, সমগ্র বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি নদীরই। কোরোনাকালীন এই দূর্যোগে দূষণমুক্ত নদী হতে পারতো দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপদ পানির অন্যতম উৎস। আমরাই দূষণের মাধ্যমে মানুষকে অন্য উৎসের দিকে ঝুকতে বাধ্য করেছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষক দলের চমৎকার আবিষ্কারঃ শৈবাল থেকে ন্যানো-ফিল্টার

লেনা আলফি সম্প্রতি শৈবাল থেকে পানি বিশুদ্ধকরণ ন্যানো ফিল্টার তৈরি করে সারাবিশ্বে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন …

3 comments

  1. Saifur Rahman Suman

    অনেক ভাল লেখা হয়েছে। আরও অনেক প্রাণী সম্বন্ধে তথ্যবহুল কিছু জানতে পারলে ভালো লাগতো। ভবিষ্যতে এরকম আরও কিছু জানতে পারব বলে আশা করি। লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মাহবুব রেজওয়ান।

    সাইফুর রহমান সুমন
    মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগ
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

    • সাইফুর রহমান সুমন ভাইকে বলছি, আপনাদের মতো তরুণ যারা পরিবেশ বিষয়ে পাঠ্য এবং ব্যাবহারিক জ্ঞান লাভ করছেন, তাঁদের অংশগ্রহণ আমাদের আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে। আমরা আশা করবো, আপনাদের মূল্যবান জ্ঞান আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবেন।
      ধন্যবাদ আপনাকে।

    • আপনাদের অনুপ্রেরনাই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে চলার পাথেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *