কেমন করে হয় বট মাছির বংশ বৃদ্ধি !!!???

ঋজু আজম

ছবিটি দেখলে কেমন গা গুলিয়ে ওঠে । আমরা সবাই জানি মাছি বিভিন্ন রোগ জীবাণু ছড়াতে ওস্তাদ । কিন্তু এই বট মাছি (Bot fly) তার চেয়েও এক ধাপ এগিয়ে । বট মাছি নামের এই মাছিটির বংশ বৃদ্ধি অত্যন্ত ভয়ংকর রকমের প্রক্রিয়ায় হয় । এরা নিজেদের বংশ বৃদ্ধির জন্য বেঁছে নেয় অন্য কোন প্রাণীর শরীর এমনকি মানুষও ।bot

বট মাছি ডিম ছাড়ার জন্য ও ডিম ফুটে বেরন বাচ্চার খাবারের জন্য সহজ উপায় স্বরূপ অন্যের ত্বক ফুট করে তাতে এক বা একাধিক ডিম ছেড়ে দেয় । তারপর ডিম বহন কারী শরীর থেকে তাপ নিয়ে সেই ডিম ফুটে লার্ভা জন্ম হয় । লার্ভা বহন কারীর শরীরের অংশ খেয়ে বড় হতে থাকে এবং পূর্ণ বয়স হলে বট মাছির ডিম পাড়বার সময়কার সেই ফুটো দিয়ে বেড়িয়ে আসে । প্রক্রিয়াটি খুব সহজ মনে হলেও ডিম ও লার্ভা বহন কারী সেই প্রাণীটির জন্য তা মোটেও সুখকর নয় । বট মাছির বংশ বৃদ্ধির এই পদ্ধতির ফল স্বরূপ সেই প্রাণীটিকে ত্বকে অসহ যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় । অনেক সময় সেই প্রাণীটিকে প্রাণ পর্যন্ত দিতে হয় । bot 2
এদের ত্বকের নিচ থেকে বের করে আনা সহজ নয় । কেননা খুঁচিয়ে বের করার চেষ্টা করতে গেলে লার্ভা ভীতরেই মরে যেতে পারে ফলে ক্ষততে সংক্রামণ হতে পারে । তাই সাধারণত মানুষ বট মাছির লার্ভা চামড়ার নিচ থেকে বের করতে ডিম পাড়ার জন্য বট মাছির করা ফুটোতে প্রলেপ দিয়ে রাখে যাতে ফুটো দিয়ে কোন ভাবে অক্সিজেন ভীতরে যেতে না পারে । ফলে লার্ভা শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যায় । এর পর খুব সতর্কতার সাথে লার্ভা টেনে বের করতে হয় । সাবধান থাকতে হয় যেন মরা লার্ভা ভীতরে ছিড়ে না যায় । ibotfly001p4
সত্যি ভয়ঙ্কর এর বংশ বৃদ্ধি । তাই বট মাছি থেকে সাবধান । এদের বসবাস দক্ষিণ অ্যামেরিকায় ।

Check Also

প্রকৃতিতে সালফারের ঘাটতি; বিশেষজ্ঞ কী বলছেন? (শেষপর্ব)

দীর্ঘ গবেষণার ফলাফলস্বরূপ প্রাপ্ত উপাত্ত নিয়ে গবেষণাপত্রের সহলেখক লোয়েল জেনট্রি বলেন, “সাম্যবস্থা ঋণাত্মক। যে পরিমাণ সালফার ফসল উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন তা বায়ুমণ্ডল সরবরাহ করতে পারছে না। সেইসাথে ঘাটতি কৃষিজমিতেই। কৃষিজমিতে জৈব পদার্থে প্রচুর পরিমাণে সালফার রয়েছে, কিন্তু তা অত্যন্ত ধীরে বিয়োজিত হয়। ফলে তা শস্যের চাহিদার সাথে খাপ খাওয়াতে পারেনা এবং এই পরিস্থিতিতেই কৃষকদের সালফার সার যোগ করার প্রয়োজন পড়বে”।

প্রকৃতিতে সালফারের ঘাটতি; বিশেষজ্ঞ কী বলছেন? পর্ব-১

সালফার চক্র এই মূহুর্তে মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ, বর্তমান পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে সালফারের পরিমাণ প্রতিনিয়ত হ্রাস পাচ্ছে। বিগত বিশ বছরের উপাত্ত নিয়ে ‘ইলিনয়িস বিশ্ববিদ্যালয়’র পরিচালিত সমীক্ষা এই তথ্যই দিচ্ছে। সমীক্ষা আরও বলছে, এর ফলে মধ্যপশ্চিমাঞ্চলের জলবিভাজিকা এবং নদীগুলোতে সালফারের পরিমাণ ধীরে ধীরে হ্রাস পেয়েছে যার প্রভাব পড়তে চলেছে কৃষিজমিতে। এর ফলে কৃষকদের কৃষিভূমিতে পৃথকভাবে সালফার প্রয়োগের প্রয়োজন হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *