তানভীর হোসেন
দেশের উত্তরাঞ্চলের কৃষিকাজের জন্য পানির প্রধান উৎস তিস্তায় হঠাৎ পানির পরিমান বেড়ে গেছে। উত্তরের উপজেলা নীলফামারী, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়ার কৃষকরা হঠাৎ পাওয়া এই পানি নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়ল। পানির মারাত্নক অভাবে শুকিয়ে যাওয়া নদীগুলো আজ হঠাৎ জেগে উঠল। আজ ২৩ এপ্রিল প্রকল্প এলাকায় আগত পানির পরিমান তিন হাজার ছয় কিউসেক।
জেলা সদরের বিশমুড়ি গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, রাতেও ভাবি নাই সকালে উঠি এত পানি পাওয়া যাবে। সাত দিন আগে অল্প পানি পাইছিলাম। এর আগত শ্যালো সেচ দিয়া পানি দিছি। আইজ পানির অভাব নাই। এই রকম পানি পাইলে হামার আবাদ করির কোনো অসুবিধা হইবে না। সদরের ইটাখোলা গ্রামের আবু বকর জানালেন, গত ২০ দিনের ব্যবধানে তার দুই বিঘা জমির পাটবীজ দুই বার নষ্ট হয়ে গিয়েছে। দুই বিঘা জমির বোরো ধানগাছ পানির অভাবে নষ্ট হয়েছে। এলাকাবাসীর তথ্যমতে, এবার তিস্তায় পানির পরিমান দিন দিন কমতে কমতে প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল। তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের আওতায় থাকা প্রধান সেচখাল হয়ে দিনাজপুর, রংপুর ও বগুড়া খাল প্রায় শুকিয়ে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড এ প্রকল্পের আওতায় ৬০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করে ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে পালাক্রমে সেচ প্রধান করে। এটি লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকেরও কম। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে তিস্তার পানি কমতে কমতে ৫০০ থেকে ৬০০ কিউসেকে দাড়ায়। অথচ এ সময় এ নদীতে স্বাভাবিকভাব গড়ে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার কিউসেক পানি থাকা প্রয়োজন। গত রোববার ৬৮৮ কিউসেক এবং গত সোমবার পানিপ্রবাহ ছিল ৮৩০ কিউসেক।তবে কি কারনে হঠাৎ এই পানির পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে তার কোনো সুনির্দিষ্ট কারন এখনো জানা যায় নি। ধারনা করা হচ্ছে, ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় হঠাৎ তিস্তায় পানির পরিমান বেড়েছে।
তথ্যসূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো