রোলেক্স অ্যাওয়ার্ডস ফর এন্টারপ্রাইজ- ২০১৪'র ফাইনালে বাংলাদেশের সায়েম চৌধুরী

তাওহীদ হোসাইন

রোলেক্স অ্যাওয়ার্ডস ফর এন্টারপ্রাইজ- ২০১৪ এর ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের সায়েম ইউ চৌধুরী। বিশ্বব্যাপি ১২৯ টি দেশের ১৮২৯ জন প্রতিযোগীর মধ্যথেকে শীর্ষ ২২ এ স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের এই তরুণ প্রতিভাবান পরিবেশ সংরক্ষণবিদ। আসছে জুনের ২৪ তারিখ এ বছরের শীর্ষ পাঁচ এর নাম ঘোষণা করবে রোলেক্স।sayem vai

মোট পাঁচটি বিষয়ে অবদান রাখার জন্য বিশ্বজুড়ে ১৯৭৬ সাল থেকে বিখ্যাত ঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রোলেক্স এই পুরস্কার প্রদান করে আসছে। ফলিত প্রযুক্তি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, পরিবেশ, অন্বেষণ এবং আবিষ্কার, এবং বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য এই পাঁচ বিষয়ে বিশ্বব্যাপী তরুণ উদ্যোক্তা এবং কর্মীদের মধ্যথেকে যাচাই বাছাই এর পর সেরা পাঁচটি বিষয়ে পাঁচ জন কে মনোনীত করে রোলেক্স। মানুষের জীবন মানে উন্নয়ন আনে এবং বিশ্বব্যাপি প্রাকৃতিক সম্পদ ও সংস্কৃতি রক্ষায় অবদান রাখে এমন উদ্যোগকেই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে জুরি বোর্ড। অভিযাত্রী, পরিবেশবিদ, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, অধ্যাপক দের সমন্বয়ে গঠিত জুরিবোর্ড প্রতি দুই বছর অন্তর এ পুরস্কারের জন্য বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে থাকেন। 

বাংলাদেশের সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ তিনটি বাস্তুতন্ত্রে অবৈধ প্রাণীহত্যা এবং পাচারের জন্য প্রাণী শিকার রোধের পাশাপাশি সেসব এলাকার জনসাধারণকে এ ব্যপারে শিক্ষাদানের মাধ্যমে সামাজিক গুণগত পরিবর্তন আনতে সমর্থ হওয়ায় সায়েম ইউ চৌধুরী রোলেক্স অ্যাওয়ার্ডস ফর এন্টারপ্রাইজ- ২০১৪ শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছেন। বর্তমানে সায়েম, “বাংলাদেশ স্পুনবিল্ড স্যান্ডপাইপার কন্সারভেশন প্রোজেক্ট” বা চামচঠুঁটো বাটান নামক বিরল প্রজাতির পাখি রক্ষার গবেষণা প্রকল্পে প্রধান অন্বেষী হিসেবে কাজ করছেন। তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাক্রম সম্পন্ন করেন। সায়েম দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌঁছেছেন। এর আগে ২০০৬ সালে রুনা খান মেরি এই পুরস্কার জেতেন। রুনা ফ্রেন্ডশিপ ইন্টারন্যাশনাল শিরোনামে একটি এনজিও’র প্রধান যেটি প্রতি মাসে ৫০০০০ জন সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের সেবা প্রদান করে থাকে।

রোলেক্স অ্যাওয়ার্ডস ফর এন্টারপ্রাইজ- ২০১৪ এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুনঃ http://www.rolexawards.com/finalists

Check Also

পুরাতন ব্রহ্মপুত্র: নদী, নিরাপদ পানি ও মানুষের গল্প

দূষণের এই চিত্র শুধু পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের না, সমগ্র বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি নদীরই। কোরোনাকালীন এই দূর্যোগে দূষণমুক্ত নদী হতে পারতো দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপদ পানির অন্যতম উৎস। আমরাই দূষণের মাধ্যমে মানুষকে অন্য উৎসের দিকে ঝুকতে বাধ্য করেছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষক দলের চমৎকার আবিষ্কারঃ শৈবাল থেকে ন্যানো-ফিল্টার

লেনা আলফি সম্প্রতি শৈবাল থেকে পানি বিশুদ্ধকরণ ন্যানো ফিল্টার তৈরি করে সারাবিশ্বে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *