তানভীর হোসেন
দুঃখের পর সুখ আসে, তা কিছুদিন থাকে আবার সময়ের সাথে পালাক্রমে দুঃখ আসে। এভাবে সুখ-দুঃখের চক্রায়ন হয়ত পৃথিবীর রহস্য। কিন্তু সুখের সময় যদি এত ছোট হয় তা ক্ষনিকের জন্যও দুঃখকে ভুলাতে পারেনা। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ম্যাচ জিতলে যেরকম সুখকর আলোচনা হয় গত একদিন সেরকমই ছিল দেশের সকল স্তরের মানুষের কিন্তু ১৬ ঘন্টার বেশি তা আর টিকে রইল না। পানি এসে তা আবার ফিরে গেছে আদি স্থানে। গত মঙ্গলবার তিস্তায় হঠাৎ করে আসা সেই পানি আবার উধাও হয়ে গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬.৫০ এ লালমনিরহাট তিস্তা সেচ ব্যারেজ পয়েন্টে প্রবাহিত পানির পরিমান ছিল ৩০৫০ কিউসেক। রাত ১১ টায় তা ৩০০০ কিউসেক এ গিয়ে কমতে শুরু করে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে গতকাল দুপুরে পানির প্রবাহ কমে ১২৪২ কিউসেক এ নেমে আসে।এ ব্যাপা্রে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, হয়ত কোনো কারিগরি ত্রুটির কারনে ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের গেইট কিছু সময়ের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এ কারনে এই পানি বাংলাদেশ অংশে আসে। পরবর্তীতে ত্রুটি সমাধান করে তা আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, ভারত ইচ্ছাকৃতভাবেও এই পানি দিতে পারে তবে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো বার্তা আসে নি। কৃষকের আশার পালে হাওয়া লাগিয়ে চলে যাওয়া এই পানি সম্বন্ধে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কয়েক কর্মকর্তা বলেন, তিস্তার বাংলাদেশ অংশে আসা এই পানি প্রধান খাল দিয়ে রংপুর, দিনাজপুর ও বগুড়া খালে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। আগামী কিছুদিন কৃষকরা এই পানি দিয়ে সেচ সুবিধা পাবে। তারা আরো জানান, গত মঙ্গলবার বেশি পানি আসা মানে এই নয় যে ভারত সবসময় বাংলাদেশকে এই পরিমান পানি দিবে। ব্যাপারটিকে সম্পূর্ণভাবে অপ্রত্যাশিতই বলা যায়। দেশের উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু উপজেলায় চাষাবাদের প্রয়োজনীয় পানির প্রধান উৎস তিস্তা। এই বৃহৎ অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নে তিস্তা ইস্যুটির সমাধান দেশের নিতিনির্ধারকদের অত্যাবশ্যকীয় কাজে পরিনত হয়েছে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এই তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন আজ সকল স্তরের মানুষেরই দাবী।
তথ্যঃ দি ডেইলি স্টার, দৈনিক প্রথম আলো