ভাঙন আতঙ্কে দিশেহারা পদ্মা পাঁড়ের মানুষ
ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের পদ্মা পাড়ের মানুষ এখন নদী ভাঙ্গন আতঙ্কে দিশেহারা। নদীতীরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ এখনও শুরু না হওয়ায় এবারও ভয়াবহ ভাঙ্গনের আশংকায় এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ইতিপূর্বে নদী ভাঙ্গনে যাদের সর্বস্ব বিলীন হয়েছে সর্বহারা এই পরিবারগুলোর এখনও মাথা গোঁজার কোন ঠাঁই মিলেনি।
সরকারিভাবে কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় এই মানুষগুলো এখন ভাসমান জীবন-যাপন করছে। এলাকাবাসী ও ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, গতবছর ভাঙ্গন মৌসুমে সাঁড়া ইউনিয়নের কোমরপুর, আড়মবাড়িয়া, শেখের চক, গোপালপুর, মাজদিয়া, ছোটপাড়া, বড়পাড়া, সাঁড়া, পালিদহ গ্রামের চার শতাধিক বাড়িঘর এবং এসব এলাকার ৮টি মসজিদ, ৪টি মন্দির, ২টি গোরস্থান, ১টি শ্মশান ঘাটসহ ১০ কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। শনিবার সরেজমিনে সাঁড়ার ভাঙ্গন এলাকা ঘুরে জানা যায়, বর্তমানে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে সাঁড়ার প্রাচীনতম আড়মবাড়িয়া গ্রাম।
পাবনা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলু জানান, ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীর ভাঙ্গন রোধকল্পে যে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করেছে, তার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে। অর্থ বরাদ্দ হলেই এই নদীর বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে তিনি ইত্তেফাককে জানিয়েছেন।
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক (২৩/০৬/২০১৩)