চকরিয়ার বনাঞ্চলে অবৈধ বসতি

আরমান চৌধুরী

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ফাসিয়াখালী রেঞ্জের রিজার্ভ বনাঞ্চলে অবৈধ বসতি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় একাধিক প্রভাবশালী চক্র এসব অবৈধ বসতি নির্মাণে জড়িত বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসি। অভিযোগ উঠেছে, দখলবাজদের দেখাদেখিতে এসব এলাকায় বন মামলার অনেক আসামি বনভূমি দখলে নিয়ে দালান বাড়ি নির্মাণ করেছে। বনবিভাগ সূত্র জানায়, ২০১২সালের নভেম্বর মাসে বনবিভাগ উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় যৌথ অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও কিছুদিনের ব্যবধানে রেঞ্জের দক্ষিণে বনবিভাগের নার্সারির পশ্চিমের ওই এলাকা আবারো দখলে নিয়েছে প্রভাবশালী দখলবাজ চক্রের লোকজন। image_51553

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের রিংভং ছগিরশাহ কাটা গ্রামের জনৈক ব্যক্তি বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে মালুমঘাট এলাকায় বনবিভাগের জমি ও মূল্যবান গাছ কেটে বেচাকেনায় জড়িত রয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, মালুমঘাট নার্সারির পশ্চিম পাশে রিজার্ভ এলাকায় অন্যসব অবৈধ দখলবাজ চক্র কাঁচা ঘর তৈরি করে বসবাস করলেও বনবিভাগের ৮মামলার আসামি নির্মাণ করেছে পাকা দালান বাড়ি। গত মাসে ডুলাহাজারা বিট কর্মকর্তা ও বনকর্মীরা অভিযান চালিয়ে তার বাড়ি থেকে ৫ টুকরো মাদার ট্রি গর্জন গাছ কাটা অবস্থায় উদ্ধার করে।

বনাঞ্চলের জমিতে বসতি নির্মাণের সত্যতা স্বীকার করে অভিযুক্ত ব্যক্তি বলেন, তার বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ৮-১০বছর আগে। এখানে শুধু সে একা নন, বনবিভাগের জমিতে এরকম শত শত বসতি নির্মাণ করেছে অনেকে। তিনি বলেন, বনবিভাগের ভিলেজারদের ভোগদখলীয় জমি ক্রয় করে মূলত তিনি ওই জমিতে বাড়িটি নির্মাণ করেছেন। ডুলাহাজারা বিট কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ব্যাপারে দখলকারীর বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বনজ সম্পদ জবরদখল ও মূল্যবান গাছ কেটে লুটের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পুরানো ৮-১০টি বন মামলা রয়েছে।

সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক (২৭/০৬/২০১৩)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *