নগর অবকাঠামো উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশনের জনবান্ধব পরিকল্পনা গ্রহন ও নজরদারি জোরদার করার দাবি

নগর অবকাঠামো উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশনের জনবান্ধব পরিকল্পনা ও নজরদারি অভাবের কারণে এ সকল উন্নয়নে নাগরিকদের সুবিধাসমূহ নিশ্চিত করা হচ্ছে না। গুলশান এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়। আজ সকাল ১১ টায় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)-র কার্যালয়ে আয়োজিত উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুস সোবহান, নীতিবিশ্লেষক ও আইনজীবী সৈয়দ মাহবুবুল আলম, আর্কিটেক শাহিন আজিজ, গবেষক এমএ ওয়াদুদ মডার্ণ ক্লাবের সভাপতি আবুল হাসনাত এবং পরিবেশকর্মী ।
বক্তারা বলেন ঢাকা শহরে যুগের পর যুগ ধরে নানা অবকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে। এ সকল উন্নয়নসমূহে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষের শারিরীক, মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুবিধাসমূহ বিবেচনায় নেয়া হয় না। ফলে এ সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে সুবিধা সার্বজনীন না হয়ে, কিছু ব্যক্তি গোষ্ঠীরমাঝেসীমাবদ্ধ থাকে, যা পরবর্তীতে নানা সমস্যার সৃষ্টি করে।
বক্তারা বলেন নগরের ফুটপাথের প্রশস্ততা একটি নগরের সভ্যতার মাপকাঠি। এ নগরে অধিকাংশ মানুষকে নানা প্রয়োজন হাঁটতে হলেও, নগর পরিকল্পনায় হাঁটাকে গুরুত্ব প্রদানকরা হয় না। পবার প্রতিনিধিদল গুলশান-১ হতে গুলশান-২ পর্যন্ত  ২ কিলোমিটার এলাকার ২২টি স্থানপর্যবেক্ষন করে।
পবার পর্যবেক্ষণে কোন ফুটপাথেই পথচারী ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বান্ধব স্লোব পাওয়া যায়নি; ফুটপাথের উচ্চতা একেক স্থানে একে রকম; বাড়ী/প্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ী প্রবেশ ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাপথচারী চলাচলে বিঘœ সৃষ্টিকরছে, ফুটপাথে অনেক বৈদুতিক খুটি রয়েছে, যা চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে; কোথাও পথচারী/ বৃদ্ধ মানুষের বিশ্রামরে জন্য বসার কোন ব্যবস্থা নেই; পথচারী পারাপারে মাত্র ১ টি ব্যবস্থা দেখা গেছে, যা মানসম্মত নয়; ফুটপাথের প্রশস্ততা একেক স্থানে এক ধরনের; দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বসানো টাইলস, তাদের জন্য উপযোগী নয়; কিছু বাড়ীর সামনে লোহার নেট বানিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা করা হয়েছে; অনেক প্রতিষ্ঠানের এসির পানি ও জেনারেটারের ধোয়া নির্গমণব্যবস্থা একেবারেই ফুটপাথমুখী; ফুটপাথের পাশে কিছু প্রতিষ্ঠান/বাড়ী নিজের মতো সংস্কার করেছে, যা দুঘর্টনার কারণ হতে পারে, রাস্তার রোড নম্বরের ২ পা বিশিষ্ট সাইন বোর্ড সমূহ চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে, গলির রাস্তা গুলোতে ভিন্ন ধরনের টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে, যা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীতের উপযোগী নয়; কোথায়ও জেব্রা ক্রসিং পরিলক্ষিত হয়নি; কোথ্ওা সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই, মাথার গলিতে অবৈধভাবে চায়ের দোকান গড়ে উঠেছে, ফুটপাথের কোন্ও কোন জায়গায় অসম্পূর্ণতা থেকে গেছে, কোথায় কোথায় ইঞঈখ কিংবা এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সুইচবাক্সরে অস্তিত প্ওায়া গেছে, যা স্বাভাবিক চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে,  কোন কোন ভবন তার সীমারেখা অতিক্রম ফুটপাথের জায়গা  দখলে নিয়েছে। (পবা ফেইজবুকে ছবি ও প্রতিবেদন রয়েছে)
সংবাদ সম্মেলনে পথচারীর সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষাআইন, ২০১৩ বাস্তবায়নে  উপরোক্ত সমস্যা/প্রতিবন্ধকতা গুলো সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ, ফুটপাথ উন্নয়ন সংক্রান্ত কার্যক্রমে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, প্রতিবন্ধী, শিশু, নারী এবং পরিবেশ কর্মীদের প্রতিনিধিদের মনিটরিং কাজে সম্পৃক্ত করা, নগর ভবনে একটি ডেক্স/বিভাগকে পথচারী পরিবেশ উন্নয়ন সংক্রান্ত দায়িত্ব প্রদান, ফুটপাথের উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি নীতিমালা/গাইড লাইন প্রণয়ন, যাতে নগরের ফুটপাথের অকাঠামো তৈরি সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকবে। যা পুরো নগরের একই ধরনের ফুটপাথ তৈরিতে সহযোগিতা করবে, পথচারী সিগন্যাল ব্যবস্থা করা, নগরের বিভাগের কর্মীদের ফুটপাথের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে দক্ষতামূলক প্রশিক্ষন প্রদান, প্রতিটি রাস্তা ও ফুটপাতের জন্য তথ্য সংরক্ষনে একটি পৃথক ফাইল সংরক্ষন করার সুপারিশ করা হয়।

Check Also

মস্তিস্ক ভক্ষক অ্যামিবা !

এই রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে কোন স্পষ্ট ধারণা নেই। কিন্তু ল্যাবরেটরিতে অনেক ঔষধ  Naegleria fowleri  (নেগেইলারিয়া ফাউলিরি) এর বিরুদ্ধে কার্যকর। তবে, তাদের কার্যকারিতা অস্পষ্ট; কারণ প্রায় সব সংক্রমণই মরণঘাতি।

অসাধু ব্যবসায়ীক চক্রেই ভেজাল ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তা সাধারণ

পাবলিক হেলথ ইনস্টিটিউট এর ফল পরীক্ষার তথ্যানুযায়ীই বলতে হয় যে, এ দেশের ৫৪ ভাগ খাদ্যপণ্য ভেজাল এবং দেহের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর বলেই চিহ্নিত হয়েছে। সারা দেশ থেকেই স্যানিটারি ইন্সপেক্টরদের পাঠানো খাদ্য দ্রব্যাদি পরীক্ষাকালে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *