পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেমিনারে নদী রক্ষায় করণীয় সম্পর্কে আলোচনা!

প্রকৃতির সবকিছুই পরিবর্তনশীল। ধীরে ধীরে এই পরিবর্তন আমাদের সামনে প্রকট আকার ধারণ করছে। জলবায়ু তারই একটি বড় উদাহরণ। জলবায়ু দিন দিন পরিবর্তিত হয়ে আমাদের সামনে বিরুপ প্রকৃতিকে এনে তুলে ধরছে। ইদানিং কালের প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। নদী ভাঙন আমাদের দেশের জন্য এক বড় হুমকি। এবছর কি পরিমান ক্ষতি হতে পারে তার পূর্বাভাস দিয়ে গতকাল হয়ে গেলো এক সেমিনার।nodi-vagon_5

 সেমিনারে বলা হয়, আসছে বর্ষায় ও বর্ষার পরে দেশের প্রধান চারটি নদীতে তিন হাজার ৬০০ হেক্টর জমি, ৪৮৫ হেক্টর বসতভিটা , সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ, তিন কিলোমিটার জেলা সড়ক এবং ছয় কিলোমিটার উপজেলা ও গ্রামীন সড়ক বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) বিজ্ঞানীরা এই পূর্বাভাস দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত সেমিনারে যমুনা, গঙ্গা, পদ্মা ও নিম্ন মেঘনা নদী ভাঙনের এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়। সেমিনারটি আয়োজন করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সিজিআইএস।

 অনুষ্ঠানে  বলা হয়, কৃত্রিম উপগ্রহের পাঠানো তথ্য নিজস্ব পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করে সিজিআইএস এই পূর্বাভাস দিয়েছে। এই চার নদীর ৪৮ স্থানের তথ্য বিশ্লেষণ করে পূর্বাভাসে বলা হয়, এ বছর ৬৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৩৪টি মসজিদ, ১৪টি হাটবাজার, আটটি সরকারী কার্যালয়, ছয়টি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও চারটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র নদী গর্ভে  বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। নদীভাঙ্গনকে বড় ধরনের আর্থ-সামাজিক সমস্যা উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, নতুন রাস্তা নির্মাণ বা মানুষের পুনর্বাসনের  জন্য জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। টেকসইভাবে এক কিলোমিটার রাস্তা তৈরির জন্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা দরকার, যা জোগাড় করাও কঠিন। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিজিআইএসের উপনির্বাহী পরিচালক মমিনুল হক সরকার, প্রকৌশলী আনিকা তাহসিম ও রিফাত আনোয়ার। প্রতিষ্ঠানটি গত বছর এপ্রিলে পূর্বাভাসে বলেছিল, যমুনা, গঙ্গা ও পদ্মার দুই পাড়ে ৪১টি স্থানে ভাঙ্গনে দুই হাজার ২০০ হেক্টর জমি, ৩৩৮টি হেক্টর বসতভিটা, ৪৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চারটি হাটবাজার,  একটি সরকারি কার্যালয়, তিনটি এনজিও কার্যালয় এবং চারটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বিলিনের ঝুঁকিতে আছে।

 তথ্য সুত্র :  দৈনিক প্রথম আলো।

Check Also

আগামী ২ সপ্তাহে বাংলাদেশে কি ১৯৮৮ সালের মতো একটি বন্যা আসন্ন!

আবহাওয়া বিজ্ঞানের উপর বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত তথ্য মাধ্যম গুলোর বন্যা পূর্বাভাষ মডেল হতে প্রাপ্ত চিত্র, কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ হতে প্রাপ্ত বায়ু প্রবাহ ও বৃষ্টিপাতের near real time চিত্র, আগামী ৩ দিনের বৃষ্টিপাত পূর্বাভাসের বিভিন্ন চিত্র ব্যবহার করে আবহাওয়া বিজ্ঞানের উপর নিজের অর্জিত সকল জ্ঞান প্রয়োগ করে বাংলাদেশে আগামী ২ সপ্তাহ সম্ভব্য যে বন্যার চিত্র কল্পনা করছি সেটা আসলেই ভয়ংকর।

পবা’র গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা

ঢাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড, মাস্টার প্ল্যান ও ড্যাপকে উপেক্ষা করে অপরিকল্পতিভাবে হচ্ছে। পানি, পয়ঃবর্জ্য, যোগাযোগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অবকাঠামোসহ অন্যান্য সকল অবকাঠামো অপরিকল্পিতভাবে এবং নিম্নমানের হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *